তথ্য-প্রযুক্তি খাতে শুধু কর মওকুফ চাইলে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারকে প্রযুক্তি সম্পর্কে আগাম জানাতে হবে এবং সাপোর্ট দিতে হবে।’ শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘পৃথিবীতে ৮০ শতাংশ বাজার ম্যান মেড ফাইবারের, বাকি ২০ শতাংশ কটন। আর আমাদের ৯৫ শতাংশই কটনের বাজার। আমরা ম্যান মেড ফাইবারের দিকে নজর দিইনি। এখন যখন আমেরিকা-চীনের কনফ্লিক্ট চলছে তখন চীনের অনেক কোম্পানি আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে আসছে। তারা বলছে, এখানে ম্যান মেড ফাইবারের ইকোসিস্টেম নেই, পলিসি সাপোর্ট নেই। এখন বিজিএমইএ ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। এটাতো আরো আগে হওয়ার কথা ছিল, হয়নি কেন?’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বেসিসেরও একই অবস্থা। আপনারা ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো করছেন, রফতানি করছেন। প্রযুক্তি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আপনাদেরকেও পরবর্তী ধাপে চিন্তা করতে হবে। আপনারা ট্যাক্স ছাড় চাচ্ছেন, ট্যাক্স অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ আইডিয়া দিতে হবে আপনাদের, সাপোর্ট দিতে হবে।’
এফ রহমান বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম আমার জন্য সুবিধাজনক হবে নাকি অসুবিধাজনক হবে তা আমি জানি না। তাদের কি প্রশিক্ষণ দিতে হবে, কিভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে তা আমাদের জানান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসছে, দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, এজন্য বেসিসকে অনেক দ্রুত এগোতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বুঝি ট্যাক্স সমস্যা আপনাদের আছে কিন্তু আপনাদের চিন্তাকে আরও বেশি বড় করতে হবে। এ খাতের সমস্যা, নতুন কী প্রযুক্তি আসছে, কিভাবে পলিসি সাপোর্ট সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে তা নিশ্চিত করবেন। পরিবর্তিত এ সময়ে বেসিসকে পুনরায় ভাবতে হবে এবং সরকারকে গাইড করতে হবে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীরা এগিয়ে গেলেও বেসিসের কমিটিতে নারী প্রতিনিধি নেই। নারী উদ্যোক্তাদের এ খাতে উৎসাহিত করতে হবে। বেসিসের কমিটিতে তিন ভাগের এক ভাগ নারী উদ্যোক্তা থাকা উচিত। আমরা আমাদের ২৩টা জেলায় উইম্যান চেম্বার করেছি।’ তিনি বলেন, ‘সফটওয়্যার খাতে একটি বড় সমস্যা কোম্পানিগুলোর অনাগ্রহ। এখানে ডোমেইন নলেজের এক্সপার্টাইজ নেই। ডোমেইন নলেজ স্পেশালিষ্ট না থাকলে এগিয়ে যাওয়া যায় না।’