০৫ মে ২০২৫, সোমবার



পুষ্টি চাহিদা পূরণে ‘প্রযুক্তি গ্রাম’ দিচ্ছে সহযোগিতা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || ২২ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
পুষ্টি চাহিদা পূরণে ‘প্রযুক্তি গ্রাম’  দিচ্ছে সহযোগিতা


হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রযুক্তি গ্রাম দিচ্ছে বহুমুখী সহযোগিতা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রযুক্তি গ্রাম কর্মসূচি চালু হয়। 

এরমধ্যে কামারগাঁও গ্রামের মো. তারেক মিয়া ও কচুয়াদি গ্রামের রিপন মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, সিরাজ মিয়া, কুতুব উদ্দিনের বাড়ির আঙ্গিনায় উপজেলার কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রথমে টিনশেড তৈরি করা হয়। প্রতিটি শেড তৈরিতে সরকারিভাবে খরচ করা হয় ২০ হাজার টাকা। এসব শেডে খামারজাত, কেঁচো কম্পোস্ট ও কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত সারে চাষ হচ্ছে সবজি, ঔষধি, ফল ও মসলা। 

কামারগাঁও গ্রামের মো. তারেক মিয়ার বাড়িতে গেলে দেখা যায় আঙিনায় বিটরুট, বেগুন, লাউ, লেটুস পাতা, পেয়ারা, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, ড্রাগন, স্ট্রবেরি, পেঁপে, জলপাই, অ্যালোভেরা, স্কোয়াশ, ব্রোকলি, বিলাতি ধনিয়া পাতা, দেশী ধনিয়া, ওলকপি, রঙিন ফুলকপি, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ, আলু, টমেটো, বিভিন্ন রকমের শাকসহ অন্যান্য ঔষধি, ফল, সবজি ও মসলার গাছ। এসবের অনেক গাছে ঝুলছে ফসল। 

কৃষক মো. তারেক মিয়া বলেন,  উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামিমুল হক শামীম আমাকে বাড়ি এসে পরামর্শ দেন পতিত জমি আবাদ করে ফসল চাষ করার জন্য। আমি এ পরামর্শ গ্রহণ করে ঘরের সামনে প্রায় ১০ শতক জমি আবাদ করি। তিনি আমাকে কৃষি অফিস থেকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রযুক্তি গ্রাম কর্মসূচি এসে দেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমাকে ২০ হাজার টাকায় একটি টিনশেড ঘর তৈরী করে দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বীজসহ নানা উপকরণ। পাশাপাশি আমিও প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করে সবজি, মসলা, ঔষধি ও ফলের বাগান তৈরী করি। বর্তমানে এখানে উৎপাদিত ফসল নিজেদের চাহিদা পূরণ করে আত্মীয় ও পরিচিতদের দিতে পারছি।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামিমুল হক শামীম বলেন,  আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রযুক্তি গ্রাম কর্মসূচি চালু হওয়ায় কৃষকরা পতিত জমি আবাদ করে নানা ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এখানে সফলতার প্রমাণ দেখিয়েছেন উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের কৃষক মো. তারেক মিয়া ও কচুয়াদি গ্রামের কৃষক রিপন মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, সিরাজ মিয়া ও কুতুব উদ্দিনরা। এ প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হলেও কৃষকরা প্রযুক্তি গ্রাম কর্মসূচিতে ঔষধি, মসলা, সবজি ও ফল বাগান থাকবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা অব্যাহত রাখা হবে। 




আরো পড়ুন