দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে মাছের সরবরাহ। তাই প্রতি কেজি মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, রমজানের আগেই যদি এভাবে মাছের দাম বাড়ে, তবে রমজান মাসে মাছ কেনা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিন ধরে বাজারে মাছের সরবরাহ কমে গেছে। চাষিরা মালিকরা পুকুর থেকে মাছ কম তোলায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। রোবাবার (৩ মার্চ) সকালে হিলির মাছ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি বাজারে মাছ কিনতে আসা মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘হিলিতে মাছের দাম দিনদিন বাড়ছেই। গত শনিবার বড় সাইজের যে কাতল মাছ ছিল ২৮০ টাকা কেজি। আজ সেই মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
আবু সুফিয়ান আরও বলেন, ‘তবে আকারে ছোট সাইজের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। তাই ২৫০ টাকা কেজি দরের ২ কেজি মাছ কিনলাম ৫০০ টাকা দিয়ে।’
আরেক ক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। নিয়মিত পাঙ্গাস মাছ কিনি। গেলো সপ্তাহে যে পাঙ্গাস মাছ কিনে ১৬০ টাকা কেজি দরে। আজ সেই পাঙ্গাস মাছ কিনতে হল ১৮০ টাকা কেজি দরে।’
আব্দুল জব্বার আরও বলেন, ‘এভাবে মাছের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের সমস্যায় পড়তে হবে।’
হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাজল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আসলে বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। আগে বড় সাইজের কাতল মাছ ২২০ কেজি দরে কিনে ২৫০ কেজি দরে বিক্রি করি। আর এখন কিনতেই পড়ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর বিক্রি করছি ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এভাবে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে মাছের দাম কমে আসতে পারে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/