১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার



বাড়ছে দাবদাহ, পাল্লা দিচ্ছে লোডশেডিংও

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:০৪ এএম
বাড়ছে দাবদাহ, পাল্লা দিচ্ছে লোডশেডিংও


দেশজুড়ে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ।  সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংও। স্থানীয়রা বলছেন, দিনরাতে ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে। এরফলে গরমের পাশাপাশি ফ্রিজে রাখা ওষুধসহ বাড়িতে ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্রও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর পল্লী বিদ্যৃৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, হিলিতে মোট বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৯ মেগাওয়াট । কিন্তু মিলছে ৪ মেগাওয়াট। এই কারণেই লোডশেডিং বেড়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের মো, মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই তো প্রচণ্ড গরম। বাড়িতে গিয়েও শান্তি নেই। বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার গেলে আসার খরব থাকছে  না। যদিও আসছে। আবার ৩০ মিনিট পরে চলে যাচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছি আমরা।’

গৃহবধূ মোছা. আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘বাইরে প্রচণ্ড রোদ। বাড়িতে ঢুকলে বিদ্যুতের লোডশেডিং। কোথাও শান্তি নেই। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব সমস্যায় আছি।’

আম্বিয়া বেগম আরও বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে রাখা মাছ, গোস্তসহ সবজিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলা মুশকিল হয়ে পড়বে।’

হিলি বাজারের ওষুধের দোকানদান মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু ওষুধ আছে সবসময় ফ্রিজে রাখতে হয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাধ্য হয়ে অনেকে আইপিএস ব্যবহার করছেন। যাতে ফ্রিজে রাখা ওষুধের গুণগতমান ঠিক থাকে।’

পল্লী বিদুৎ হিলি সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিশ্বজিৎ সরকার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমাদের কী করার আছে? হিলিতে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু পাচ্ছি ৪ মেগাওয়াট। সাড়ে ৫ মেগাওয়াট বিদুৎ ঘাটতি থাকছে প্রতিদিন। যা কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

বিশ্বজিৎ সরকার আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি কেটে উঠতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তখন আর এত লোডশেডিং থাকবে না। গ্রাহকদের ভোগান্তিও কমবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন