দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) যে রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে, সেই মাছই ৫ সেপ্টেম্বর বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ১৪০ টাকা কেজি দরের পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, বর্তমানে মাছের দাম বেড়েছে, কমেছে টাকার মান।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছের প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও কেন মাছের দাম কমছে না, তারা তা বুঝতে পারছেন না। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছের সরবরাহ ঠিকই আছে। কিন্তু মাছচাষিদের কাছ থেকে বেশি দাম কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হিলিবাজারে মাছ কিনতে এসেছেন মো. হাসান আলী। তিনি বলেন, ‘হিলিতে মাছের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। আমি গেলো বৃহস্পতিবার যে সাইজের রুই মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি, আজ সেই মাছ কিনতে হলো ২৪০ টাকায়। এভাবে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’ তিনি বলেও বলেন, ‘বর্তমানে মাছের দাম বেড়েছে, কমেছে টাকার মান।’
আরেক মাছ ক্রেতা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। সপ্তাতে কোনো দিন পাঙ্গাস আবার কোনো দিন সিলভারকার্প কিনি। কিন্তু সেই কম দামের মাছগুলোর দামও কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার যে পাঙ্গাস মাছ কিনেছি ১৪০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই পাঙ্গাস কিনলাম ১৬০ টাকা কেজিতে।’
শাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘সিলভারকার্প মাছের দামও কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। ১২০ টাকা কেজি দরের সিলভারকার্প মাছ আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।’
হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে রুই মাছ সাইজের ওপর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করি। আর আজ কিনতেই পড়ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। আর বিক্রি করছি সাইজভেদে ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে।’
আব্দুল কুদ্দুস আরও বলেন, ‘বাজারের মাছের সরবরাহ আগের মতোই আছে। কিন্তু কিনতে হচ্ছে বেশি দাম। মাছচাষিরা আমাদের বলছেন, মাছের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনে খরচ বেশি পড়ছে। তাই আগে দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। আমরাও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি।’